বিড়াল সম্পর্কে ২০টি মজার তথ্য যা জানলে আপনি অবাক হবেন
বিড়াল সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশী জানি। তবে এমন কিছু ব্যাপার আছে যা হয়তো আমরা প্রতিদিনই দেখি যার ফলে তার গভীরতা যাচাই করি না। আজকে এই পোস্টে আমরা বিড়ালের এমন সব অজানা ২০টি মজার তথ্য নিয়ে আলোচনা করবো যা শুনলে হয়তো আপনি অবাক হবেন। অথচ এই ব্যাপারগুলোর বেশীরভাগই আপনি প্রতক্ষ করেছেন আগে।
বিড়াল সম্পর্কে ২০টি মজার তথ্য
০১. সবছেয়ে প্রাচীন বিড়ালের বয়স ৯,৫০০ বছরঃ
২০০৪ সালের আগে সবাই মনে করতো প্রাচীন মিশরীয়রা সর্বপ্রথম বিড়াল পালন শুরু করেছিলো এবং তাদের হাত ধরেই গৃহপালিত বিড়ালের যাত্রা শুরু হয়েছিলো। প্রায় চার হাজার বছর পর্যন্ত বিড়ালের ইতিহাস সম্পর্কে এই থিউরিউ ছিলো আমাদের জানা। কিন্তু এই তত্ত্ব ২০০৪ সালে এসে ভুল প্রমানিত হয় একদল ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিকদের গবেষনায়। ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিকরা ২০০৪ সালে সাইপ্রাসে একটি বিড়ালের কবর আবিষ্কার করেছেন এবং বিড়ালের হাঁড় ও ডিএনএ টেস্ট করে গবেষকদল নিশ্চিত হয়েছেন এটি ছিলো একটি গৃহপালিত বিড়াল এবং এটি মারা গেছে প্রায় ৯,৫০০ বছর আগে। সেই হিসেবে বিড়াল গৃহপালিত হওয়ার বয়স ৯,৫০০ বছর।
০২. বিড়ালের জীবনের ৭০% সময় কাটে ঘুমিয়েঃ
গৃহপালিত বিড়ালগুলোকে আমরা বেশীরভাগ সময়ই দেখি ঘুমিয়ে থাকতে। কিন্তু এই ঘুমিয়ে থাকার ব্যাপ্তি কতোক্ষন হতে পারে তা কি অনুমান করতে পারেন?
গৃহপালিত বিড়ালগুলো প্রতিদিন প্রায় ১৩-১৬ ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটায়। আর এ হিসেবে তাদের জীবনের প্রায় ৭০% সময় ঘুমিয়ে ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেয়।
০৩. মেয়র বিড়ালঃ
একটি বিড়াল মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন তাও এক দুই দিনের জন্য না পুরো ২০ বছরের জন্য। ব্যাপারটা কেমন অদ্ভূত না?
আলাস্কার তালকেতনা (Talkeetna) চোট্ট একটি শহর। যদিও একে শহর বলা কতোটা যুক্তিযুক্ত হবে তা চিন্তার বিষয় কারন সেই সময় এই শহরের জনসংখ্যা ছিলো মাত্র ৯০০ জন। মোটামুটি একটি গ্রামই বলা যায়। এই ৯০০ জনের কারোই রাজনীতি বা নেতৃত্ত্ব নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা ছিলো না। কিন্তু সমস্যা দেখা দিলো যখন মেয়র নির্বাচন এলো তখন। কারন কাউকে না কাউকে তো মেয়র হতে হবে।
ঠিক সেই সময় লরি স্টেক (Lauri Stec) নামের এক দোকানের ম্যানেজার অবাঞ্চিত বক্সে অনেকগুলো বিড়াল ছানা দেখতে পেলেন। তিনি সেই বিড়াল ছানা বক্স হতে একটি লেজ বিহীন (বুবটেইল) বিড়াল ছানাকে বেছে নিলেন এবং এর নাম রাখলেন স্টাবস (Stubbs)। চোট্ট শহরে স্টাবস অল্প সময়ে পরিচিত হয়ে গেলো।
মেয়র নির্বাচনের সময় তালকেতনার লোকজন চিঠি লিখে জানালো তারা মেয়র নির্বাচন করতে চায় না এবং তাদের মেয়র হিসেবে তাদের স্টাবস নামের বিড়াল ছানাটাই পছন্দ।
আপাতত দৃষ্টিতে তালকেতনার জনগনকে পাগল মনে হলেও তাদের যুক্তি ছিলো তাদের মেয়র তাদের উপর অযাচিত কর বাড়ায় না, তাদের খাদ্য উৎপাদন ও ক্রয়ে কোনরূপ বাড়তি কর দিতে হয় না। তাই তারা তাদের পশমী মেয়কে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলো।
স্টাবস বিড়ালটি ২০১৬ সালে বিশ বছর বয়সে মারা যায়। মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেই ছিলো তালকেতনার মেয়র।
০৪. চার ফুটের বিশালাকার বিড়ালঃ
গৃহপালিত বিড়ালগুলো সাধারনত ছোট আকারের এবং প্রানবন্ত হয়ে থাকে। তবে গৃহপালিত বড় জাতের বিড়ালগুলো তুলনামূলক ভাবে অন্য বিড়ালগুলো থেকে বড় হয়ে থাকে। জেনে অবাক হবেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Robin Hendrickson and Erik Brandsness এর মালিকানাধীন Stewie নামক একটি মেইন কুুন বিড়ালটি লম্বায় ছিলো ১২৩ সেন্টমিটার অর্থ্যাৎ সাড়ে চারফুট লম্বা। যদিও এই বিড়ালটি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১৩ সালে মারা যায়। পৃথিবীর সবছেয়ে লম্বা বিড়ালের রেকর্ড এখনো তার দখলে।
০৫. মিলনিয়ার বিড়ালঃ
গিসেন বুকে বিড়ালের যতো রেকর্ড আছে তার একটি হচ্ছে পৃথিবীর সবছেয়ে ধনী বিড়াল। ব্ল্যাকি (Blackie) নামের একটি গৃহপালিত বিড়াল পৃথিবীর সবছেয়ে ধনী বিড়ালের রেকর্ড দখল করে রেখেছে। ব্ল্যাকির মোট সম্পত্তির পরিমান ছিলো মাত্র সাত মিলিয়ন পাউন্ড।
এর পিছনের কারন হচ্ছে এর মালিক মৃত্যুকালে তার পরিবারকে তার কোন সম্পত্তি দিবেন না ঘোষনা দিলেন কিন্তু তার মৃত্যুর পরে তার সম্পত্তি তো উত্তারাধিকার সূত্রে তার পরিবারের সদস্যরাই পেয়ে যাবেন। তাই তিনি মৃত্যুর আগে তার সকল সম্পত্তি তার পোষা বিড়াল ব্ল্যাকির নামে লিখে দিলেন। আর সেই সম্পত্তির পরিমান ছিলো সাত মিলিয়ন পাউন্ড। বাংলায় যার পরিমান প্রায় ৬৬,৫০,০০,০০০/- টাকা। এই উপমহাদেশে হলে সেই বিড়ালকে বিয়ে করার জন্য নিশ্চিত হাজার হাজার মেয়ে সিরিয়াল দিয়ে রাখতো।
০৬. বিড়ালেরা উট আর জিরাফের মতো হাঁটেঃ
বিড়ালকে হাঁটতে তো প্রতিদিনই দেখেছেন কিন্তু কখনো কি খেয়াল করেছেন বিড়াল কিভাবে হাঁটে?
যদি কখনো ভালো করে খেয়াল করেন তাহলে তাদের দেখবেন বিড়ালের হাঁটার ক্রম হচ্ছে প্রথমে তার সামনের ডান পা এবং পিছনের ডান পা এরপর সামনের বা পা এবং পিছনের বাম পা দিয়ে হাঁটে। অর্থ্যাৎ বিড়াল যখন হাঁটে তখন তারা প্রথম যে পাশের পা ফেলেছে তারপর ঠিক তার পিছনের পাশের পাটাই ফেলবে। প্রথমে যদি সামনের ডান পা ফেলে তবে পরে পিছনের বাম পা ফেলবে না বরং পিছনের ডান পা ফেলবে। যার ফলে হাঁটার সময় এদের শরীরের অর্ধেক একসাথে এগিয়ে যায়।
প্রানী জগতে একমাত্র উট আর জিরাফই এইভাবে হাঁটতে পারে। বিশ্বাস না হলে আজই বিড়ালের হাঁটা লক্ষ করুন।
০৭. আইজ্যাক নিউটন বিড়ালের জন্য দরজা আবিষ্কার করেছিলেন
বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের নাম শুনে নাই এমন লোক খুজে পাওয়া যাবে না। এই পদার্থ জিজ্ঞানী মহার্কষ সূত্রের জন্য বিখ্যাত। এই জগত বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী “বিড়ালের জন্য দরজা আবিষ্কার করেছেন”।
কথাটা হাস্যকর হলেও সত্য। আসল ঘটনা হচ্ছে বিজ্ঞানী নিউটন যখন ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনাগারে পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ করতেন তখন তার পোষা বিড়াল গবেষনাগারের দরজায় আঁচড় দিয়ে উনার কাজে ক্রামগত বাঁধার সৃষ্টি করতো।
একসময় তিনি বিরক্ত হয়ে কেমব্রিজ বিশ্বাবিদ্যালয়ের কার্পেন্টারকে ডেকে এনে দরজায় দুটি ছিদ্র করতে বলেন। একটি ছিদ্র মা বিড়ালের জন্য আরেকটি ছিদ্র বাচ্চা বিড়ালের জন্য। যার ফলে বিড়ালগুলো সেই গর্তদিয়ে আসা যাওয়া করতে পারতো। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো সেই গর্তগুলো দেখা যায়।
০৮. মহাকাশে বিড়ালঃ
মহাকাশে মানুষের সাথে কুকুর এবং বানর গিয়েছে এমন নিউজ হয়তো শুনেছেন। কিন্তু কোন বিড়াল মহাকাশে গিয়েছে এমন নিউজ আপনি হয়তো শুনেন নি।
ফেলিসট (Felicette) নামের বিড়ালটি যে কিনা অ্যাস্ট্রোক্যাট (Astrocat) নামেও পরিচিত সে ১৮ অক্টোবর ১৯৬৩ সালে মহাকাশে গিয়েছে। মহাকাশে যাওয়া প্রথম এবং একমাত্র বিড়াল হচ্ছে অ্যাস্ট্রোক্যাট (Astrocat)। এরপর আর কোন বিড়ার মহাকাশে যায় নাই।
০৯. বিড়ালের ভ্রু প্লাক
না বিড়াল রূপ চর্চার জন্য ভ্রু প্লাক করতো না। প্রাচীন মিশরীয়রা তাদের পোষা বিড়াল মারা গেলে তাদের ভ্রু মুন্ডন করে ফেলতো। এর পিছনে কি কারন আছে তা জানা না গেলেও প্রাচীন ইতিহাস এনসাইক্লোপিডিয়া অনুসারে, হেরোডোটাস ৪৪০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে লিখেছিলেন যে, যখন প্রাচীন মিশরীয় সময়ে একটি পোষা বিড়াল মারা যায় তখন পরিবারের সদস্যরা শোকের মধ্যে তাদের ভ্রু মুন্ডন করত।
১০. বাঘের সাথে বিড়ালের মিল
বিড়ালকে বলা হয় বাঘের মাসি। কথাটা সম্পূর্ণ অমূলকও নয়। এর কারন হচ্ছে একটি গবেষনায় দেখা যায় বিড়ালের জিনোম আর বাঘের জিনোম প্রায় ৯৫.৬% পর্যন্ত মিল রয়েছে। আর এই কারনেই বিড়ালের ঘ্রান শক্তি, হাঁটার কৌশল, ফেরেমোন নিঃসরন, শিকার ধরার কৌশল বাঘের সাথে মিল রয়েছে।
১১. উসাইন বোল্টের ছেয়েও বিড়াল দ্রুত দৌড়াতে পারে
বিড়ালের দৌড়াদৌড়ি আমরা দেখেছি। কিন্তু একটি বিড়াল সর্বোচ্ছ কতো বেগে দৌড়াতে পারে? বিড়ালের দৌড়ের গতি আমাদের ধারনাকেও হার মানাবে নিশ্চিত।
বিশ্বাস করুন আর নাই করুন একটি বিড়াল ঘন্টায় ত্রিশ মাইল বেগে দৌড়াতে পারে। এই গতি নিয়ে এরা ২০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় উসাইন বোল্টকেও পরাজিত করতে পারবে।
১২. জোরে শব্দ করার রেকর্ড
বিড়াল শান্ত স্বাভাবের এবং মৃদু স্বরে ডাকাডাকি করে। মারামারি লাগলে হয়তো একটু জোরে শব্দ করে। অধিকাংশ বিড়ালের শব্দ ২৫ ডিসিবল এর একটু কম বেশী হয়ে থাকে।
যুুক্তরাজ্যের টরকোয় (Torquay) থেকে আসা মেরলিন (Merlin) নামক একটি সাদাকালো বর্ণের বিড়াল জোরে শব্দ করার রেকর্ড গড়েছে। মেরলিনের গলার স্বর ছিলো ৬৭.৮ ডেসিবল (67.8db-A)। এটি মোটামুটি কুকুরের উচ্চ স্বরের ঘেউ ঘেউ ডাকের কাছাকাছি।
১৩. বিড়াল তাদের কানকে ১৮০ ডিগ্রী এঙ্গেলে ঘুরাতে পারে
এতোদিন জেনে এসেছেন পেঁচা তাদের মাথাকে দুইপাশ থেকে ২৭০ ডিগ্রী এঙ্গেলে ঘুরাতে পারে। আজকে জেনে নিন বিড়াল তাদের কানকে ১৮০ ডিগ্রী এঙ্গেলে ঘুরাতে পারে। Animal Planet’s এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি আর্টিকেল অনুযায়ী বিড়ালের কান হচ্ছে একটি অত্যাধুনিক স্যাটেলাইটের থালার মতো। যা বিভিন্ন উৎস হতে শব্দের সিগনাল নিতে থাকে। বিড়াল মূলত শব্দের উৎস খোজার জন্য তাদের কানকে বিভিন্ন এঙ্গেলে ঘুরায়। শব্দটা কোন দিক থেকে এসেছে তা জানার জন্য এরা মাথা কিংবা চোখ না ঘুরিয়ে কানকে বিভিন্ন এঙ্গেলে ঘুরিয়ে শব্দ শুনে।
বিড়ালের কানের অবস্থান দেখে বিড়ালের অনুভূতি বুজা যায়। যেমন, যখন দেখবেন বিড়াল কান চ্যাপ্টা করে আছে তখন বুজতে হবে বিড়ালটি ভয় পেয়েছে বা আতংকে আছে।
১৪. বিড়ালের শ্রবণ শক্তি
গৃহপালিত হওয়ার পূর্বে বিড়াল বনে জঙ্গলে থাকতো। ফলে এরা অন্যান্য শিকারী প্রানী দ্বারা সহজেই আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকতো। শিকার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এবং শিকার ধরার জন্য প্রতিটি প্রানীরই ইন্দ্রীয়গুলো সুগঠিত। যেমন শিয়াল মাটি কিংবা বরফের নিছে ইঁদুর বা খরগোশের চলাচলের শব্দ শুনতে পারে।
তেমনি বিড়ালেরও শ্রবণশক্তি অনেক প্রখর। ধারনা করা হয় বিড়ালের শ্রবণশক্তি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ছেয়ে পাঁচগুনেরও বেশী।
১৫. বিড়াল একেবারে কাছের বস্তু দেখতে পায় না
বিড়ালের দৃষ্টিশক্তি অনেক শক্তিশালী এবং তীব্র। অথচ বিড়াল তাদের নিজেদের নাক বা চিবুকের নিছের অংশ দেখতে পায় না।
এর কারন হচ্ছে বিড়ালের চোখে ছোট একটি অন্ধ স্পট আছে। যার ফলে তারা সরাসরি তাদের সামনে থাকা বস্তুগুলোকে দেখতে পারে না। তবে সামনের বস্তুর নড়াচড়া বুজতে পারে।
১৬. বিড়ালের নখ
বিড়ালের চারটি পা আছে এইটা জানা কথা। কিন্তু বিড়ালের চারটি পায়ে কতোটি নাখ আছে তা হয়তো অনেকেই জানে না।
বিড়ালের চারটি পায়ে মোট ১৮ (আঠার)টি নখ আছে। তার মাঝে সামনের দুই পায়ে পাঁচটি করে দশটি এবং পিছনের দুই পায়ে চারটি করে মোট আটটি নখ আছে।
১৭. অধিকাংশ বিড়ালের চোখের পাপড়ি (Eyelashes) নেই
প্রায় সব স্তন্যপায়ী প্রানীদের চোখের পাপড়ি আছে কিন্তু বিড়ালের নেই। এর সম্ভ্যাব্য কারন হতে পারে বিড়াল পুরো মুখ মন্ডল পশম দ্বারা আবৃত থাকে। যার ফলে আলাদা ভাবে চোখের পাপড়ির প্রয়োজনীয়তা ছিলো না বলে তারা এই ভাবেই অভিযোজিত হয়েছে।
১৮. বিড়ালের শক্তির উৎস প্রোটিন
বিড়ালকে আমরা ভাত, বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার খেতে দেখি। আর তাই হয়তো আমরা ভাবি বিড়াল সর্বভূক। বাস্তবতা হচ্ছে বিড়াল মাংসাশী প্রানী। গৃহপালিত হওয়ার ফলে এদের খাবারের বৈচিত্রতা এসেছে তাই এরা এখন সব ধরনের খাবার খায় কিন্তু বিড়ালের সবছেয়ে পছন্দের খাবার হচ্ছে মাংস। বিড়াল শর্করা খাবারের পরিবর্তে প্রোটিনজাত খাবার থেকে তাদের শক্তি পেয়ে থাকে।
১৯. বিড়াল খাবারের স্বাদ বুজতে পারে না
খাবারের স্বাদ বুজার জন্য প্রধান অঙ্গ হচ্ছে জিহ্বা। আর জিহ্বার মাঝে অনেক ধরনের নিউরন আছে যা খাবারের স্বাদ বুজতে সাহায্য করে। মানুষের জিহ্বায় প্রায় ৯০০০ সেন্সর আছে যেগুলো খাবারের স্বাদ সম্পর্কে আমাদের মস্তিষ্ককে জানান দেয়। বিড়ালের এই সেন্সরের সংখ্যা মাত্র ৪৩৭টি। যার ফলে বিড়াল জিহ্বা দ্বারা খাবারের স্বাদ সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা করতে পারে না। ফলে বিড়াল তাদের ঘ্রান শক্তি দ্বারা খাবারের স্বাদ অনুমান করে তারপর খায়।
২০. বিড়ালের নাকের প্যার্টান
প্রতিটি মানুষের ফিঙ্গার প্রিন্ট আলাদা আলাদ। তেমনি ভাবে প্রতিটি বিড়ালের নাকের প্যার্টান আলাদা আলাদা।